পোস্টগুলি

মায়ের কোল

মায়ের কোল  (নাজির হুসেইনের কলমে) তোমার কোলেই ছিলো আমার প্রথম ঘুম, তোমার হাসিতেই ফুটতো সকাল — আঁধারে ভরা পৃথিবীতে তুমিই ছিলে  আলোর দিশা।  পড়ে গেলে তুমি কাঁদতে, আমার ক্ষতই ছিলো তোমার বুকে যন্ত্রণা, শূন্য পেট নিয়ে তুমি আমায় খাওয়াও, নিজে না খেয়ে নিঃশব্দে ঘুমাও। তুমি  শুধু মা নও, তুমি আমার কাব্য,   তোমার চোখের পানিতে আমি দেখি জান্নাতের দোরগোড়া। তুমার রাগে কালো হয়,  আমার  আকাশ  তুমি হাসলে  ফুল ফোটে বনে, তোমার দোয়া আমার ঢাল, তোমার শাসনও ভালো লাগে মনে। আমার হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছো, আমার অন্তরে বসিয়ে দিয়েছো আল্লাহর নাম, তুমি না থাকলে এই দুনিয়া একটা শুন্য শূন্যতা, নিঃস্ব এক ঘর। মা,  তুমি শুধু শব্দ নও — তুমি এক অনুভব, তুমি এক ব্যথা, তুমি নিঃশব্দ ভালোবাসার অন্তহীন ব্যাখ্যা। আজ আমি বড় হয়ে রয়েছি   কেবল তুমিতেই শিশু  , তোমার চরণের নিচেই আছে আমার সবচেয়ে নিরাপদ ছায়া।

তুমি ছাড়া আমি"

তুমি ছাড়া আমি """""""""""""""" আমি তো বলেছিলাম— ভালোবাসি তোমাকে, শুধু তোমাকেই, তোমার চোখে এক অন্যরকম পৃথিবী দেখেছি, যেখানে আমি ছিলাম না— ছিল অন্য কেউ, তবুও ভালোবেসে ছিলাম নিঃশব্দে। বলেছিলাম— তুমি ছাড়া সুখ খুঁজি না কোথাও, তোমার স্পর্শহীন আকাশে আমার হৃদয় জমে ওঠে কুয়াশায়। আমি তো চেয়েছিলাম শুধু তোমার হৃদয়ের ছোট্ট এক কোণ, যেখানে বসে রচতে পারি আমার নিঃশব্দ কবিতা, তোমার নামে— অস্ফুট ভালোবাসায়। আজ আর পারি না,  কান্না করতে— নগ্ন নয়নে আবেগ ঢেকে , এই স্বার্থপর পৃথিবীকে সাজাতে। তবুও আমি বাঁচি, তোমার স্মৃতিকে আঁকড়ে। আমি এখন ভালো নই তোমার অভাবেই।  জানো না!তুমি , তোমার জন্য আমি কত কান্নাই করেছি।   এখনো আমি  আছি অন্য কেউ আমাকে না বুঝার মোতো।

"তুমি বুঝো না, আমি পড়ে যাই"

"তুমি বুঝো না, আমি পড়ে যাই" """""""""""।             ।"""""""""" আমি কি তোমায় শুধু বিরক্ত করি— এই প্রশ্ন বুকে কাঁপে চুপিচুপি, তবু জবাব চায় না আর, শুধু চায়—তুমি একবার চোখ তুলে চাও। কখন লাগে শিক্ষা একটা কাজে? আমি শিখিনি ভালোবাসা লুকাতে, শুধু শিখেছি কফির কাপের গন্ধে তোমার চোখের ছায়া কেমন লাগে। তুমি চিঠি লিখো না আমার এই ঠিকানায়, তবু আমি খুঁজে ফিরি তোমার নীরবতার ভাঁজে ভাঁজে একটু শব্দ, একটু সাড়া। চোখে জল আসে, তোমার অন্যমনস্ক হাঁটায়, তবু অধিকার চাই না, চাই না সম্মতি— আমি তো নিজেই হয়ে গেছি বিরক্তি বিতর ছবি। বিদ্যা তো নেই আমার  নেই শিক্ষা বুদ্ধি  এই তো শুধু উঠা মিডিল স্কুল, তবু ভালোবাসা পড়েছি অক্ষরে অক্ষরে, তোমার ছোঁয়ার খাতায় লিখেছি— "তুমি ছাড়া সবকিছু ভুল"। একবার আশা হয়তো পঞ্চ দিনে, আবার হারায় দশ দিনের নীরবে— তবু সেই আশা বুকে নিয়ে আমি দাঁড়াই তোমার পথের ধারে। তুমি চোখ তুলে চাও না, তুমি বুঝো না, তবু আমি পড়ে যাই— রোজ, একবার করে, তোমারই পানে।

ছবি যখন কথা বলে

ছবি যখন কথা বলে (হাশরের বিচার) রক্তে রাঙা শিশুর চোখে নিঃশব্দ আকুতি, ধ্বংসের ধুলোয় ঢাকা তার ভাঙা নিষ্পাপ স্মৃতি। কেড়েছে কেউ শৈশব, খেলনার বদলে বোমা, মায়ের কোলে আজ নেই ঘুম, আছে শুধু খড়গ-ঝঞ্ঝা। ছবির ফ্রেমে থেমে গেছে আহাজারির রাগ, নীরব কান্না বলে যায় দুনিয়ার কঠিন ভাগ। পথভোলা শিশুটির মুখে প্রশ্ন একটাই রয়ে, “আমার দোষ কী ছিল, কেন ছিন্ন হলো বয়ে?” হায় মানবতা! কোথায় তোর চেতন, বিবেক, প্রাণ? কেড়ে নিয়ে হাসি মুখ, দিলে যুদ্ধের ঘন তুফান। কত চোখ আজ পুড়ে যায় আগুনের খেলায়, আর কবে দেখবি তুই, শিশুর কষ্টের মেলায়? হাশরের সেই মহান দিনে উঠবে রক্তের হিসেব, বিচারকের দরবারে থাকবে না কোনো মেকাব। আল্লাহর আরশের তলে হবে চূড়ান্ত বিচার, যে শিশুকে কাঁদালে তুই—সেদিন পাবি তার জবাব। l

মা

মা (নাজির হুসেইনের কলমে) তোমার কোলেই ছিলো আমার প্রথম ঘুম, তোমার হাসিতেই ফুটতো সকাল — আঁধারে ভরা পৃথিবীতে pp তুমিই ছিলে  আলোর দিশা।  পড়ে গেলে তুমি কাঁদতে, আমার ক্ষতই ছিলো তোমার বুকে যন্ত্রণা, শূন্য পেট নিয়ে তুমি আমায় খাওয়াও, নিজে না খেয়ে নিঃশব্দে ঘুমাও। তুমি  শুধু মা নও, তুমি আমার কাব্য,   তোমার চোখের পানিতে আমি দেখি জান্নাতের দোরগোড়া। তুমার রাগে কালো হয়,  আমার  আকাশ  তুমি হাসলে  ফুল ফোটে বনে, তোমার দোয়া আমার ঢাল, তোমার শাসনও ভালো লাগে মনে। আমার হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছো, আমার অন্তরে বসিয়ে দিয়েছো আল্লাহর নাম, তুমি না থাকলে এই দুনিয়া একটা শুন্য শূন্যতা, নিঃস্ব এক ঘর। মা,  তুমি শুধু শব্দ নও — তুমি এক অনুভব, তুমি এক ব্যথা, তুমি নিঃশব্দ ভালোবাসার অন্তহীন ব্যাখ্যা। আজ আমি বড় হয়ে রয়েছি   কেবল তুমিতেই শিশু  , তোমার চরণের নিচেই আছে আমার সবচেয়ে নিরাপদ ছায়া।

যোদ্ধা

নির্ভীক যোদ্ধা, অদম্য সাহস বিজয়ের অস্ত্র হাতে, এগিয়ে চলেছি। ফিলিস্তিনের মাটিতে গর্জে উঠবে সংগ্রাম, একমত, একদৃষ্টি—স্বাধীনতা আমাদেরই দাবী। মোটেই তোলে বিজয়ের অস্ত্র যুদ্ধ করে যায় ফিলিস্তিনি ভাইদের দুঃসময়ে মৃত্যু আমাদের কাছে তুচ্ছ ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংলাপ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবার নিশ্চিত করেই ছাড়বে  সেদিন আসবে, বিজয় হবে নিশ্চিত। একি সমরদল, একেই বিশ্বজয়, মুক্তির প্রতীক, ত্যাগের গল্প বয়ে। ধ্বংসের মাঝেও উঠে দাঁড়াবে নব জাগরণ,

এটাই রাস্তা ছিলো

এটাই রাস্তা ছিলো :::::::::::: ::::::::::::::: এটাই রাস্তা ছিলো, চুপে চুপে আরাল থেকে। দেখিতাম তোমার প্রফাইল, মনের গোপন মেলবন্ধনে তোমার হাসি !   সবই যেন স্বপ্নময়, তোমার কথা এখন দেখি সেইটাও বিদায় জানিয়ে, দেখাচ্ছে  ব্লক লিষ্টের প্রফাইল ।  ভালবাসা! হায়রে ভালবাসা  হৃদয়ের এই ব্যথা, কে বা বোঝে বলো। তোমার স্মৃতি এখন শুধু, এক ফোঁটা জল।  মনে রেখো, তুমি  তোমার জন্য আমি চেয়েছিলাম  নিঃশব্দে অপেক্ষা করে।  রাস্তা ছিলো, আমার এতটোকে  চুপে চুপে আরাল থেকে দেখিতাম তোমার  প্রফাইল । এখন দেখি সেইটাও বিদায় জানিয়েছে  তোমার অবুঝ মনের ভাব কথাই তাই তো আজ আমিও হারিয়ে যাচ্ছি রোনা..  তোমার অবহেলায় গাথা প্রেমের নিবন্ধন থেকে।